টপ পোষ্ট

ফ্যানে ঝুলছেন গৃহকর্তা; সুটকেস-আলমারিতে সন্তান, ফ্রিজে নিথর স্ত্রী!

0

আত্মহত্যা করেছেন একই পরিবারের পাঁচজন! ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের এই ঘটনায় সোমবার বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই পাঁচ জনের দেহ। জানা যায়, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতি এবং তাদের তিন কন্যা সন্তান। তাদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুনের পর আত্মহত্যা বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সোমবার পুলিশ দরজা ভেঙে যখন ঘরে ঢোকে, দেখা যায় সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন গৃহকর্তা। এর পর আরও তল্লাশি চলিয়ে ফ্রিজে পাওয়া যায় তার স্ত্রীর নিথর দেহ। রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করে। আরও কিছুক্ষণ তল্লাশির পর সুটকেস এবং আলমারি থেকে পাওয়া যায় দুটি শিশুর দেহ। যারা ওই দম্পতিরই সন্তান।

তাদের তৃতীয় সন্তানকে পাশের ঘর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানকে খুন করেন গৃহকর্তাই। তার পর নিজে আত্মঘাতী হন। যদিও এই ঘটনার পিছনে কোনো তৃতীয় জনের হাত রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কিন্তু কেন এই নৃশংশ খুন শেষে আত্মহত্যা করলেন ওই ব্যক্তি? ঘটনা তদন্তে পরিবারের কোনো বিবাদ বা স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক থাকার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মনোজ কুশওয়াহা নামে ওই ব্যক্তি সন্দেহবশবর্তী হয়েই খুন করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মাসে মাদুরাইয়ের এক নারী তার দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন। ওই নারী সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন, সন্তানদের সামনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে তার স্বামী। অপমান সহ্য করতে না-পেরে সন্তানদের খুন করতে বাধ্য হন তিনি।

এলাহাবাদে হত্যাকাণ্ডের মতো গত জুলাইয়ে ঝাড়খণ্ডের হাজিরাবাগে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ না দিতে পারার তথ্য উঠে এসেছে সুইসাইড নোটে। জুলাইয়েই দিল্লির বুরারি হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। একই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু হয় বুরারিতে। তদন্ত করতে নেমে খুনের সূত্র পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে যায় দিল্লি পুলিশের। পরে জানা যায়, এই গণ আত্মহত্যার পিছনে কালা জাদুর (ব্ল্যাক ম্যাজিক) ভূমিকা ছিল।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন