গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সারা দেশে মাত্র ৯৬টি অনুমোদিত বার রয়েছে। অথচ এর বাইরে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্টে মদ বিক্রি হয়। কিন্তু লাইসেন্স না থাকায় তারা ট্যাক্স দেয় না। তাই যারা যারা মদ বিক্রি করছে সবাইকে লাইসেন্স প্রদান করা হোক। পাশাপাশি মদের ওপর আরোপিত ট্যাক্স কমানো হোক।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পাঁচ তারকা মানের হোটেল এবং রিসোর্টে হার্ড ড্রিংসের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু এই হার্ড ড্রিংসে যে হারে কর আরোপ করা টপহয়েছে, তা অত্যধিক। এটা কমিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। হার্ড ড্রিংসের ওপর যে হারে ট্যাক্স নেয়া হয় তাতে বিদেশিরা খুশি না, ফলে বিক্রিও কম হয়।
বর্তমানে সারাদেশে অনুমোদিত বারের সংখ্যা মাত্র ৯৬টি। অথচ গুলশান-বনানীতে যে কোনো রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়ে যে কোনো ধরনের ড্রিংসের অর্ডার করলে ওরা দিয়ে দেয়, কিন্তু তারা কোনো ট্যাক্স দেয় না। কারণ তাদের লাইসেন্স নেই। তাই যারা এসব করছে তাদের বৈধভাবে মদ বিক্রি করার সুযোগ দিতে হবে। সহশ্র অবৈধ বারকে অনুমোদন দেয়া হোক। এছাড়া হার্ড ড্রিংসের ওপর ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
দেশে কর দাতার সংখ্যা বাড়ানো প্রস্তাব করে মন্ত্রী বলেন, কমপক্ষে দুই কোটি মানুষকে কর এর আওতায় আনতে হবে। এই দুই কোটি লোক যদি ২০ হাজার করে টাকা দেয় তাহলে ৪০ হাজার কোটি টাকা আসতে পারে। তিনি ভ্যাট আদায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এমপিদের দাবির মুখে সব সংসদ সদস্যকেই প্লট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যকেই প্লট দেয়া হয়েছে। তিন কাঠা করে হলেও সবাই পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের এটা উপহার হিসেবে দিয়েছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এমপিও ভুক্তির কথা বলা হলেও বাজেটে কাগজ-কলমে কোনো কিছু দেখছি না। আমার অনুরোধ থাকবে এটাকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে থাকুক এবং প্রতিটি সংসদীয় আসনে অন্তত পক্ষে দুটি করে হলেও এমপিওভুক্ত করার অনুরোধ করছি।