টপ পোষ্ট

‘দেশের ক্রাইসিসে পাশে থাকতে পারিনি, এটা আমাকে ভোগাবে, পোড়াবে’

0

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিজের ব্যর্থতাও স্বীকার করে নিলেন তিনি। এছাড়া, নড়াইলে তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ বা ক্ষোভ নেই বলেও জানিয়েছেন মাশরাফি।

বাংলাদেশে যে কয়েকজন পরিচিত মুখ রয়েছে ও যাদের কথায় তরুণ প্রজম্ন দারুণভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজা অন্যতম। অথচ তরুণ প্রজন্মের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সেই মাশরাফিই ছিলেন পুরোপুরি নিশ্চুপ। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের এমন অবস্থানে একেবারেই হতাশ হয়েছেন তরুণরা। সেই সঙ্গে ক্ষুব্ধও হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য হওয়ার কারণেই দলের বাইরে গিয়ে কিছু বলতে পারেননি সাবেক এই ক্রিকেটার।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় বিক্ষব্ধ জনতা। এত কিছু হওয়ার পরেও অবশ্য এত দিন মুখ খোলেননি মাশরাফি। তবে, এবার আর চুপ থাকতে পারলেন না তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এবার কথা বলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দেশের ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকতে না পারায় দায় মাথা পেতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি।

ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ এই বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই পুড়িয়েছে। বাড়িতে আগুন লাগানোয় কষ্ট পেলেও কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। সঙ্গে এমনটিও জানিয়েছেন তার প্রতি কারো ক্ষোভ থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।

কোটা আন্দোলন যৌক্তিক ছিল বলেও স্বীকার করেন মাশরাফি। রাজনীতিবিদ হিসেবে, কিছু করার চেষ্টা করতে চাইলেও পারেননি মাশরাফি। ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পেরে হতাশার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি। নানা দিক ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত আর এ বিষয়ে কথা বলা হয়ে উঠেনি সাবেক এই পেসারের।

নিজের নীরবতার জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন মাশরাফি। তবে, দিনশেষে সান্তনা যে, বাবা-মা অন্তত প্রাণে বেঁচে গেছেন। যা গেছে, কথা বলে লাভ নেই। দেশের একটা ক্রাইসিস মুহুর্তে পাশে থাকতে পারিনি, এটা আমাকে সবসময়ই ভোগাবে, পোড়াবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.