টপ পোষ্ট

কোভিড-১৯: সারাবিশ্বের ৪১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত

0

উৎপত্তির প্রায় সাড়ে চার মাসে বিশ্বের ৪১ লাখের বেশি মানুষের দেহে থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। যাতে পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে।

আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণনাশক ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ।

এতে করে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪ হাজার ২৪৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনার আঘাতে না ফেরার দেশে ২ লাখ ৮০ হাজার ২২৪ জন মানুষ।

আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে শীর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত একদিনে ২৫ হাজারের বেশি নাগরিকের দেহে করোনা চিহ্নিত হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৯ জনে। প্রাণহানি ঘটেছে আরও ১ হাজার ৪২২ জনের। ফলে, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

মৃত্যুপুরী ইউরোপে প্রাণহানি কখনো কম কখনো বেশি। তবে থেমে নেই সংক্রমণ ছড়ানো। লকডাউন শিথিল করায় কর্মমুখী মানুষ। এতে করে সংক্রমণ বিস্তারের নতুন রূপ নিয়েছে।

আক্রান্তে স্পেন ও ইতালির থেকে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডে থাকা যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার মানুষের দেহে মিলেছে করোনা। এতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ২৬০ জনে। মৃত্যু ৩১ হাজার ৫৮৭ জনে ঠেকেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ স্পেনে প্রাণহানি ২৬ হাজার ৪৭৮ জন। আক্রান্ত বেড়ে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৩ জনে ঠেকেছে। ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ১৮ হাজার ২৬৮ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ হাজার ৩৯৫ জন।

প্রতিদিনিই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়ায় করোনার শিকার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৬ জন। আক্রান্তে যার অবস্থান পাঁচে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮২৭ জন।

ভয়াবহ অবস্থায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও। দেশটিতে নতুন করে ১০ হাজার ১৬৯ জন করোনার শিকার হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬১ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছেন সেখানে ১০ হাজার ৬৬৫ জন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় ভারত। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার ৮০৮। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০১ জনের।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে হয়েছেন ২ হাজার ৪১৪ জন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.