টপ পোষ্ট

লিঙ্গসমতা সূচকে এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ

0

লিঙ্গসমতা সূচকে এশিয়ার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব লিঙ্গ সমতা সূচকে দারুণ উন্নতির পর এশিয়ার সূচকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় অবস্থানে দেখানো হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ার শীর্ষ ১০ দেশে বাংলাদেশ ছাড়া ঠাই পেয়েছে মিয়ানমার। ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক আর্টিকেলে এই তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন ৭২ শতাংশ লিঙ্গ অসমতা কমে এসেছে। দেশে আইনজ্ঞ, বড় সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পেশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবস্থান শক্ত হচ্ছে। এছাড়া একই পদে চাকরি করে পুরুষের সমান বেতন পাচ্ছেন নারীরা। তবে তাদের জরিপ বলছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ক্ষেত্র পুরুষের চেয়ে নারীরা এখনও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। WEF-এর জরিপে এশিয়ার প্রথম স্থানে আছে ফিলিপাইন।

এর আগে ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ২৫ ধাপ উন্নতি করে ৭২তম অবস্থান থেকে ৪৭তম অবস্থানে চলে এসে বিশ্বকে অবাক করে দেয় বাংলাদেশ। লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৭১৯ (০.৭১৯)। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। ১০৬ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদ্বীপ।

এবারের সূচকে ২১ ধাপ পিছিয়ে ভারতের অবস্থান ১০৮তম স্থানে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ১০৯, নেপাল ১১১, ভুটান ১২৪ এবং পাকিস্তান ১৪৩তম স্থানে রয়েছে।

সূচকে লিঙ্গ সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে চারটি প্রধান বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয়। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনীতি। বাংলাদেশ শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বেশ ভালো স্কোর অর্জন করেছে। পিছিয়ে আছে স্বাস্থ্য খাতে। পুরুষ ও নারীর গড় আয়ুর ব্যবধান বেশি থাকায় এ ক্ষেত্রে কম স্কোর লাভ করেছে বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে দ্রুততম সময়ে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ তার লিঙ্গ বৈষম্যে ৭২ ভাগ নিরসন করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং আয়ের সম সুযোগ লাভ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদানে দারুণভাবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন