টপ পোষ্ট

পর পুরুষের সঙ্গে? অস্বস্তি ছিল সানির স্বামীর

0

সাবেক পর্নতারকা ও বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন ইস্পাত-কঠিন নারীদের একজন, যিনি সমস্ত সমালোচনা-নিন্দাঝড় অতিক্রম করে সাফল্যের মই বেয়ে চূঁড়ায় উঠেছেন। সানি সবসময়ই খোলামেলা কথা বলেন। অতীত ও বর্তমান জীবন নিয়ে কেউ কিছু জানতে চাইলে লুকোছাপা করেন না। বললেন, স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গে প্রেমের দিনগুলোর কথা। যখন পর্ন ছবিতে কাজ করতেন সানি, তখন প্রেমিক ড্যানিয়েল অস্বস্তিতে ভুগতেন।

অনেক উত্থান-পতনের পর সানি লিওন অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে তাঁর আসন পাকা করেছেন। এখন তিনি আরও জনপ্রিয়। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভেতর ও বাইরের মানুষের ভালোবাসার একজন।

কিন্তু একজন মানুষ, যাকে তিনি সুসময়-দুঃসময়ে পাশে পেয়েছেন, তিনি হলেন স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার। এখন তাঁরা ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাদের প্রেমের দিনগুলি কেমন ছিল?

অভিনয়ের প্রথম দিকে সানি লিওন পর্ন ছবিতে কাজ করতেন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন পর্নতারকা। কিন্তু এসব কিছুই ড্যানিয়েলের মনকে বিব্রত করে না। বরং সানির প্রতিটি সিদ্ধান্তে, জীবন বা পেশায় ড্যানিয়েল সহায়ক ছিলেন, আছেন। আর এ কারণেই তাঁরা ভক্তদের কাছে হৃদয়ের ‘লাভবার্ড’।

মঙ্গলবার হিউম্যানস অব বোম্বেকে সানি লিওন তাঁর জাদুময় ভালোবাসার গল্প শোনান। বলেন, তাদের পরস্পরের প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস ও আস্থা আছে।

একটি ক্লাবে দেখা হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে। ড্যানিয়েল প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছিল। সানিরও বেশ ভালো লেগেছিল তাঁকে। কিন্তু কীভাবে যেন সানির ফোন নাম্বার ও ইমেইল আইডি পেয়ে যান ড্যানিয়েল।

কিন্তু ড্যানিয়েল সানিকে কল দেন না। মেইল করেন। এভাবে যোগাযোগ শুরু হয় তাদের। কাকতালীয়ভাবে সানি নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন। সেখানে থাকতেন ড্যানিয়েল। তখন ড্যানিয়েল মেইলে সানিকে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কখনোই আমাকে নাম্বার দেবে না? বলো?’

প্রথম দেখা কীভাবে হলো? রাগিণী এমএমএস-২ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথম দেখা দেরিতে হয়েছিল। ভদ্র মানুষের মতো সে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছে। যখন প্রথম দেখা হলো, কথা হলো— সেটা ছিল সুরেলা মুহূর্ত। মনে হচ্ছিল পুরো রেস্টুরেন্টে কেউ নেই, শুধু আমি আর সে। আমরা তিন ঘণ্টা কথা বলেছিলাম— মনে হচ্ছিল ও আমার চিরচেনা।’

কিন্তু সবসময় যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল, এমন নয়। স্থায়ী বন্ধনে যাওয়ার আগে তাঁরা পরস্পরকে চেনার চেষ্টা করেছেন, জানার চেষ্টা করেছেন। সানি বলেন, ‘যখন আমি ওমানে ছিলাম, তখন সে আমাকে একটি সিডি ও ফুল পাঠিয়েছিল। আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।’ তাদের সফল সম্পর্কের গোপন রহস্য হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া আর সাহচর্য।

প্রেম শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই সানির মা মারা যান। সেই বিষাদময় দিনগুলোতে পাশে থেকেছেন ড্যানিয়েল। ‘আমি এমন কাউকে প্রত্যাশা করতাম, যার আবেগিক দায়বদ্ধতা আছে। সে পাশে ছিল। শুধু আমার পাশে নয়, আমার পরিবারের পাশেও ছিল সে। রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে আমি কান্না করতাম আর ড্যানিয়েল আমাকে জড়িয়ে ধরত’, বলেন এ তারকা।

প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে যখন সানি কাজ করতেন, তখন অন্য পুরুষের সঙ্গে তাঁকে মিলিত হতে হত। এতে ড্যানিয়েল অস্বস্তি বোধ করতেন। সানির ভাষায়, ‘সে খুবই বিবেচক ও সহায়ক। তবুও পর্ন ছবিতে অন্য পুরুষের সঙ্গে কাজ করার সময় সে অস্বস্তি বোধ করত। এরপরই আমরা দুজন শুরু করলাম।’

কিছুদিন আগে ড্যানিয়েল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পরিবারের গুরুত্ব তাঁর কাছে প্রথম। সানির সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই পরিবার গড়ে উঠবে। ‘এখন আমি অনুভব করি, আমার পরিবার সম্পূর্ণতা পেয়েছে’, বলেন ড্যানিয়েল।

২০১১ সালে সানি লিওন ও ড্যানিয়েল ওয়েবার বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তান আছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন