চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের স্মৃতি এখন শুধুই অতীত। আপাতত বিশ্বকাপের দিকেই চোখ ফুটবলপ্রেমীর। তবে লিভারপুল ভক্তদের স্মৃতিতে এখনও উজ্জ্বল ফাইনালের সেই তিক্ত ঘটনা। অল্পের জন্যই ক্লাবের ক্যাবিনেটে আসেনি ইউরোপীয় ফুটবলের সব থেকে মহার্ঘ্য ট্রফি। রেডস-ভক্তদের কাছে জোড়া খলনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সের্জিও রামোস এবং লরিস কারিয়াস।
লিভারপুল সমর্থকদের মন ভেঙ্গে দিয়েছিলেন র্যামোস তাদের এক নম্বর তারকা মুহম্মদ সালাহ-কে ফাউল করে। যে কারণে মিশরীয় তারকার বিশ্বকাপই প্রায় অনিশ্চিত। দ্বিতীয় জন, বলার অপেক্ষা রাখে না লরিস কারিয়াস। লিভারপুল গোলকিপারের কাছে ফাইনালের রাত অভিশপ্ত হয়ে রয়েছে। প্রথম গোলের সময়ে করিম বেঞ্জিমা-কে গোল ‘উপহার’ দিয়েছিলেন তিনি। গ্যারেথ বেলের দ্বিতীয় গোল আবার জার্মান গোলকিপার গ্রিপ করতেই পারেননি।
জোড়া ভুলেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ক্লপ বাহিনীর। তার পরেই সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কারিয়াস। ম্যাচের পরেই চোখের জলে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় জার্মানিতে তার পরিবারকে খুনের হুমকিও শুনতে হয়েছিল তাকে।
বহু ফুটবলারও লরিসের পাশে দাঁড়িয়েছিল এর পরে। এমনকি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পর্নস্টার মিয়া খলিফাও। তিনি নিজের ইনস্টাগ্রামে লরিসের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হাসতে থাক। ভুল-ভ্রান্তি মানুষের হয়েই থাকে।’ এরপরে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে সের্জিও রামোসকে উদ্দেশ্য করে গালিও দিয়েছেন।
এর আগে ফুটবলার চ্যাড কেলি এবং বাস্কেটবল তারকা উইলসন কোন্টেরাসের গোপন বার্তা প্রকাশ্যে ফাঁস করে দিয়ে বিব্রত করেছিলেন তারকাদ্বয়কে। তার পর ফের ফুটবলের ময়দানে খলিফা।