টপ পোষ্ট

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ড গঠন

0

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ড গঠিত হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র মূল্যায়ন-পূর্বক পুরস্কারপ্রাপকদের নাম সুপারিশ করার জন্য ‘জুরি বোর্ড’ গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডে আছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ সংগীত পরিচালক ও গীতিকবি প্রিন্স মাহমুদ।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে সদস্য হিসেবে দেখা গেছে ১৩ সদস্যের নাম।

যেখানে জুরি বোর্ড সদস্য হিসেবে আছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী অপি করিম ও কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি।
এতে সভাপতি হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রও উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, এর মহাপরিচালক।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখা প্রধান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগ এর চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেন। চলচ্চিত্র পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জন, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন পলাশ। সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।

জুরি বোর্ডের কার্যপরিধি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জুরি বোর্ড ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পর্যবেক্ষণপূর্বক পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র, শিল্পী ও কলা-কুশলীদের নাম সুপারিশ করবে। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র আহবান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হয়ে থাকলে পুনর্গঠিত জুরি বোর্ড চলচ্চিত্র আহবান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরস্কারের বিবেচনার নিমিত্ত চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে। চলচ্চিত্র সংগ্রহ করার পর জুরি বোর্ড সে সব স্ক্রিনিং, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে বিবেচ্য বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়নপূর্বক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

আরও জানানো হয়, আজীবন সম্মাননা ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে প্রয়োজনীয় মনে হলে জুরি বোর্ড একাধিক চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদানের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কোনও ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারের জন্য যথাযোগ্য মনে না করলে জুরি বোর্ড সেক্ষেত্রে সুপারিশ প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে সুপারিশ না করার কারণ উল্লেখ করতে হবে। জুরি বোর্ড পুরস্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুখ্য সুপারিশের পাশাপাশি বিকল্প সুপারিশ প্রদান করবে। জুরি বোর্ড পুরস্কারের জন্য সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের জীবন-বৃত্তান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদয় অবগতি ও বিবেচনার জন্য সুপারিশমালার সাথে দাখিল করবে। উপরোক্ত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা ও কার্যক্রম; এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের সুপারিশমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জুরি বোর্ড গঠন সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.