টপ পোষ্ট

সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ফুটবলার ইয়ামাল

0

সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দল এবং ক্লাব ফুটবলে অভিষেক। দুই জায়গায়ই সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল। শুধু তাই নয় বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টেও সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। বলছি, স্পেনের ফুটবলকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার দূত হয়ে আসা লামিনে ইয়ামালের কথা। এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত এই ফুটবলার।

লা মাসিয়ার সে সময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় ছিলেন লিওনেল মেসি। তবে লিওকে বার্সেলোনার মূল দলে খেলতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। সেই মেসি ভেঙেছেন সব রেকর্ড। হয়েছেন বার্সার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট খেলোয়াড়।

মেসির পর আনসু ফাতির মধ্যেও সম্ভাবনার ছাপ দেখেছিল কাতালান ক্লাবটি। তাকে অভিষেক করানো হয়েছিল ১৬ বছর বয়সে।

সবকিছুর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। তার জন্য বার্সার অপেক্ষা করেনি। মেসি-ফাতির মতোই লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা ইয়ামালকে তৎকালিন কোচ জাভির এতটাই মনে ধরে যে বয়স ১৬ ছোঁয়ার আগেই নামিয়ে দেন মাঠে।

মাঠে নেমে আস্থার প্রতিদানও দেন। রাইট উইংয়ে খেলা ইয়ামাল যেমন গোল করতে পারদর্শি তেমনি গোলের জন্য বল যোগাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। অল্প দিনের ব্যবধানে সুযোগ পেয়ে যান কাতালান ক্লাবটির স্টাটিং ইলেভেনে।

দীপ্তিমান এই কিশোরকে জাতীয় দলেও অভিষেক করাতে বেশিদিন অপেক্ষা করেনি স্পেন। অভিষেকের দিনই গোল করে বনে যান সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা।

ইরোপিয়ান চ্যাসিম্পয়নশিপে সবার নজর ছিল লামিনে ইয়ামালের উপর। প্রতিদিনই শুরু একাদশে খেলেছেন তিনি। ড্রিবলিং, পাসিং আর গোল করার দক্ষতায় মুগ্ধ করছেন সাবাইকে।

টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম বয়সী মাঠে নামেন। হয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ইউরোতে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে করেছেন গোলের সহায়তা।

কিংবদন্তি কালোমানিক পেলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ইয়ামাল। ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে প্রথম গোল করার সময় পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন।

ইয়ামালকে বার্সেলোনার পরবর্তি মেসি হিসেবেও দেখলেন অনেকে। এরই মধ্যে ৬ মাস বয়সী ইয়ামালের সাথে মেসির বেশকটি ছবি ছড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.