টপ পোষ্ট

এখনো জীবিত সাদ্দাম হোসেন!

0

ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের কবরের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে তাকে কবর দেয়া হয়েছিলে বোমা হামলা চালিয়ে সেই স্থানটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে তার কবরের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই। সেখানে একাধিক গর্ত করেও তার লাশের কোনো হদিস মিলছে না।

লাশ না মেলায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে, আল-আওজাহ গ্রামে কি তাকে আদৌ তাকে দাফন করা হয়েছিল, কবরে কি তার মরদেহ রাখা হয়েছিল? যদি সত্যিই তাকে দাফন করা হয়ে থাকে তাহলে তার মরদেহ কোথায়?

সাদ্দাম হোসেনকে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার নিজের গ্রাম আল-আওজাহতে দাফন করা হয়েছিল।

ইরাকের আলবু নাসের উপজাতি গোষ্ঠীর নেতা শেখ মানাফ আলী আল-নিদা। সাদ্দাম হুসাইনও এই উপজাতি গোষ্ঠীর। সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের পক্ষে মরদেহ সেই সময় গ্রহণ করে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন নিদা। কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই সেইদিন ইরাকের এই প্রেসিডেন্টের মরদেহ তাৎক্ষণিক দাফন করা হয়।

সূর্য ওঠার আগেই ভোর রাতে সাদ্দাম হোসেনকে দাফন করা হয় গ্রামের কবরস্থানে। হাশেদ আল-শাবি জোটের আধা-সামরিক বাহিনী সাদ্দাম হোসেনের কবরস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। এই বাহিনী বলছে, কবরস্থানের ওপর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা স্নাইপার রেখেছিল। পরে ইরাকি বিমান বাহিনীর হামলায় কবরস্থান ধ্বংস হয়ে যায়।

বিমান হামলার ঘটনা নিজ চোখে দেখেননি শেখ নিদা। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, সাদ্দাম হোসেনের কবরস্থান বোমায় উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

আধা-সামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবির নিরাপত্তা প্রধান জাফর আল-ঘারাওয়ি জোর দিয়ে বলেন, সাদ্দামের মরদেহ এখনো সেখানে রয়েছে।

তবে জোটের এক যোদ্ধা গুঞ্জন ছড়িয়েছেন যে, সাদ্দাম হোসেনের নির্বাসিত মেয়ে রাগাদ হোসেইন ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশে ফিরে তার বাবার মরদেহ জর্ডানে নিয়ে গেছেন।

এবিষয়ে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, এটি অসম্ভব। হালা কখনই ইরাকে ফিরে আসেননি। মরদেহ সম্ভবত গোপন কোনো স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে…তবে কেউ জানে না কারা একাজ করেছে অথবা কোথায় নেয়া হয়েছে।

এদিকে এখনো বাগদাদের অনেক বাসিন্দার বিশ্বাস ইরাকের এই লৌহমানব এখনো বেঁচে আছেন। সাদ্দাম মারা যায়নি। যাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে সে সাদ্দামের মতো দেখতে অন্য কেউ।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন