টপ পোষ্ট

সামনেই উদ্বোধন, যেভাবে ব্যবহার করবেন মেট্রোরেল

0

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মেট্রোরেল একটি জনপ্রিয় ও সহজ গণপরিবহন। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বেশ আগেই চালু হয়েছে এই ট্রেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই রাজধানীতে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। রাজধানীবাসীর জন্য যা একেবারেই নতুন। এ কথা মাথায় রেখেই এমআরটি-৬ এর উত্তরা ডিপো এলাকায় মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার (এমইআইসি) নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এমইআইসি পরির্দশন করে প্ল্যাটফর্মে ওঠা, টিকিট সংগ্রহ এবং যাতায়াত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারবেন যাত্রীরা।

এমইআইসি’তে রয়েছে মেট্রোরেলে মক-আপ, মূল ট্রেন সেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনসাধারণকে মেট্রোরেলে যাতায়াত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচলে সক্ষম ২ সেট মিনি মেট্রোরেল।

মেট্রোরেল স্টেশন থেকে স্বয়ংক্রিয় ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টিকিট সংগ্রহের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম), মেট্রোরেল স্টেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট কার্ড বেজড প্রবেশ এবং বর্হিগমন গেট। এছাড়া মেট্রোরেলের ভেতরে এবং স্টেশনে যাত্রীদের করণীয় এবং কি করা যাবে না- সে সকল বিষয়ে সচিত্র উপস্থাপনা সংবলিত ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিও, অ্যানিমেটেড কার্টুন এবং টিকিট সংগ্রহের পদ্ধতি প্রদর্শন করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এমইআইসি’তে।

শিক্ষার্থীদের জন্য এমইআইসি পরিদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি ব্যাচে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে এমইআইসি পরিদর্শন করতে পারবেন। প্রতি রোববার সাপ্তাহিক ছুটি বাদে বাকি দিনগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এমইআইসি। এর মধ্যে দুপুর ১টা থেকে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি থাকবে।

মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

টিকেট কাটবেন কীভাবে?

দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে মেট্রোরেলের এমআরটি ৬ লাইনে। প্রথমটি সিঙ্গেল জার্নির জন্য, দ্বিতীয়টি এমআরটি পাস অর্থাৎ পারমানেন্ট জার্নির জন্য।

সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না।

এমআরটি পাসের (পারমানেন্ট জার্নি) জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টাকা শেষ হলে রিচার্জ করতে হবে। এই টিকিট যাত্রীকে স্টেশনে জমা দিতে হবে না। যাত্রীর কাছেই এই টিকিট থাকবে।

মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে এই দুই ধরনের টিকিট কাটতে পারবে যাত্রীরা। স্টেশনে থাকা টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের কাছ থেকে এবং টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে।

টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি অপশন নির্বাচন করতে হবে। সিঙ্গেল ও পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে।

এরপর আসবে যাত্রীদের গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশনের কত ভাড়া সেই তালিকা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে তার গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট কাটবে তার আপশন আসবে। সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী একবার যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে টিকিট পাওয়া যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে এমআরটি পাস রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যাত্রীরা যাতে এমআরটি পাস মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হবে ভবিষ্যতে।

মোট ৮টি প্যাকেজে ভাগ করে এমআরটি লাইন-৬ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ পথে মেট্রোরেলের ভাড়া হবে প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা আর উত্তরা স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.