টপ পোষ্ট

দু’মামলায় মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

0

রাজধানীর মতিঝিল ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১১ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মতিঝিল থানার মামলার বাদি সৈয়দ আদনান ও গাজীপুর জেলার গাছা থানার মামলার বাদি র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। মতিঝিল থানার মামলায় মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা নামের আরেক আসামি সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আজ সাক্ষ্য গ্রহণের আগে কারাগার থেকে মাদানীকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এরপর রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব।

২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় নয়জনকে সাক্ষি করা হয়। এ মামলায় অন্য তিন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেফতার করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। তারা হলেন- মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার অপর আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।

অপর দিকে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন র‌্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারি পুলিশ সুপার নাজমুল হক। ১৯ জনকে মামলায় সাক্ষি করা হয় ।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী ইউটিউব এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.