টপ পোষ্ট

টিকা গ্রহণ করে যা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ

0

করোনা প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা গ্রহণ করেন তিনি।

টিকা গ্রহণের অভিজ্ঞতার জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর আমি ভাল আছি। অত্যান্ত সুন্দর পরিবেশে টিকা প্রদান কার্যক্রমের ব্যবস্থা করেছে সরকার। আপনারাও টিকা নিন।’

এদিকে দেশব্যাপী করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর টিকা নিয়েছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সকালে মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেন তিনি। এ হাসপাতালেই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হকের টিকা গ্রহণের কথা রয়েছে।

এছাড়াও টিকা নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুর ইসলাম। তাকে টিকা দেয়ার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে ইনস্টিটিউটের তৃতীয় তলায় স্থাপিত টিকাদান বুথে প্রথম টিকা নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাসহ তিন বিচারপতি।

রোববার সকাল ৯টার দিকে তারা টিকা গ্রহণ করেন। অপর দুজন হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্য বিচারপতিরাও এই হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ-তে প্রথম টিকা নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও টিকা গ্রহণ করেন।

এদিকে সারাদেশেল ন্যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দিনই টিকা নিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর আগে তিনি নগরের দুটি কেন্দ্রে ও ১৪ উপজেলায় করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

রোববার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় টিকা নেন তিনি। তার পরপরই দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও রাজনীতিক টিকা গ্রহণ করেন।

এর আগে রোববার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সারাদেশে গণহারে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রয়োগকৃত ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা এক মাসের কাজ নয়। চলমান ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সারা বছর চলবে।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমালোচনা নয়। করোনার টিকা পেতে ছয় মাস সময় লাগবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে কোভাক্স (করোনার টিকা) আসবে, সেই টিকা দেয়া হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপিসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আজ টিকা নিবেন। এতে জনগণ আরও উদ্বুদ্ধ হবে। আপনারা টিকা নিন, সুস্থ থাকুন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল জেলার সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়েছি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ আছেন। তাদের সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিন নিব। এটা নিয়ে যেন কোন রকমের রিউমার না হয়। এই ভ্যাকসিন খুবই নিরাপদ, যতগুলা ভ্যাকসিন আছে তাদের ভেতর এটা সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। আমরা হাজার হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেব, লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

এদিকে টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে রাজধানীতে ৬৫টি স্থানসহ সারাদেশে হাজারের বেশি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এই কাজে ঢাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৬টি দল প্রস্তুত রয়েছে।

ঢাকার বাইরে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলিয়ে ৯৫৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জায়গায় ২ হাজার ১৯৬টি দল টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুজন স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রতিটি দলে চারজন সদস্য থাকবেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১ হাজার ১৫টি হাসপাতালে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২ হাজার ৪০২টি দল।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.