টপ পোষ্ট

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১০ ফেব্রুয়ারি

0

নৌবাহিনীর অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বহিষ্কৃত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

২৫ অক্টোবর রাতে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছরের এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের করাদন্ড প্রদান করেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার অস্ত্র ও মাদক মামলায় বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অভিযুক্ত করে এই দুই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

এছাড়া এই দু’মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। দু’মামলায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাদন্ড দিয়েছিলেন। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মঙ্গলবার হাজিরা সত্ত্বে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সূত্র : বাসস

শেয়ার করুণ

Comments are closed.