টপ পোষ্ট

বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত সাড়ে ৫ কোটি ছাড়াল

0

করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কার্যকরি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশা জাগলেও থেমে নেই ভাইরাসটির তাণ্ডব। যার শিকার হয়েছেন বিশ্বের সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত একদিনেই ৫ লাখের অধিক মানুষ ভাইরাসটির থাবায় পড়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ৭ হাজারের বেশি ভুক্তভোগীর। এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩২ হাজার ছুঁতে চলেছে। তবে অনেকটা পিছিয়ে সুস্থতার হার।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৫৬৭ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ জনে। নতুন করে ৭ হাজার ৩০৫ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৫১ জনে ঠেকেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৫ জন রোগী।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫১ জনের।

সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৫৯ জনের।

প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার প্রায়। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭ জনের।

চারে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ১৯ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৪৫ হাজার ৫৪ জনের।

পাঁচে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ১৯ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৯ জন।

ছয়ে থাকা স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ২২ হাজার ছুঁতে চলেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪১ হাজার ২৫৩ জনের।

দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এমতাবস্থায় নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন চলছে সেখানে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫২ হাজার ১৪৭ জনের।

একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় শুক্রবার (৬ নভেম্বর) থেকে সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ ৬ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৫ হাজার ৭৩৩ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন এক-তৃতীয়াংশ রোগী।

এদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সোমবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জন মানুষ। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ২১৫ জনের।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.