টপ পোষ্ট

ভারতে একদিনে আরও ৯২৬ জনের মৃত্যু

0

ভারতে আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার বাড়ায় আরও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। তবে বিপরীত চিত্র প্রাণহানিতে। প্রতিদিনই প্রায় হাজার সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন সেখানে। গত একদিনেও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। এতে করে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ হাজার ২৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৯২৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৪১৬ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৫৮ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ লাখ ৬৪ হাজারের অধিক।

বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।

দেশটিতে শুরু থেকেই সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখনও অবধি ১৫ লাখ ৫ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে সংখ্যাটা সাত লাখ ৪৪ হাজার। কর্নাটকে ছয় লাখ ৯০ হাজার ও তামিলনাড়ুতে ছয় লাখ ৪৬ হাজার জন এখনও অবধি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা চার লাখ ছাড়িয়েছে।

দিল্লিতে মোট আক্রান্ত তিন লাখ পেরলো। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ওড়িশা ও তেলঙ্গানাতে দু’লাখ পার করেছে মোট আক্রান্ত। বিহার, অসম, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, পাঞ্জাবে মোট আক্রান্ত এক লাখের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যে আক্রান্ত এখনও লাখের কোটা পেরোয়নি।

শুধু সংক্রমণেই নয় প্রাণহানিতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী প্রাণ হারিয়েছেন। তামিলনাড়ুর মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্নাটকেও তা সাড়ে ন’হাজার। অন্ধ্র ও উত্তরপ্রদেশেও ছয় হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।

পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে সংখ্যাটা সাড়ে পাঁচ হাজারের আশপাশে। তিন হাজারের বেশি মৃত্যুর সাক্ষী গুজরাট ও পাঞ্জাব। মধ্যপ্রদেশেও সংখ্যাটা আড়াই হাজার পেরিয়েছে। রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানাতেও মোট মৃত এক হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম।

অন্যদিকে বেড়েছে সুস্থতা। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৮২ হাজার ৭৫৩ জন রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮২২ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.