টপ পোষ্ট

পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি

0

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে সরে যেতে হল মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে।

স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান গনমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগপত্র হাতে পাওয়ার পর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তার নিয়োগের অবসান করা হবে।

স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটায় নানা অনিয়ম নিয়ে এর আগে কথা উঠলেও তাতে সমস্যায় পড়তে হয়নি আবুল কালাম আজাদকে।

কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ পেলে বিপাকে পড়েন তিনি।

শুরুটা হয়েছিল চিকিৎসকদের নিম্ন মানের মাস্ক সরবরাহ দিয়ে। এরপর রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েন ডা. আজাদ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে আলাপচারিতার এই ছবি গত ৮ এপ্রিল ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, যা নিয়ে সমালোচনায় পড়েন আবুল কালাম আজাদস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে আলাপচারিতার এই ছবি গত ৮ এপ্রিল ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, যা নিয়ে সমালোচনায় পড়েন আবুল কালাম আজাদ
এক পর্যায়ে তিনি রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়ান। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছিল।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও দুই-তিন বছর থাকবে বলে এক বক্তব্যের জন্যও মন্ত্রীদের তোপে পড়েছিলেন ডা. আজাদ। পরে তিনি দুঃখও প্রকাশ করেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করে আসছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, যার দায়ও অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের উপর বর্তায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজাদ এর মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্ত হওয়ার পর গত মে মাসে তিনি সিএমএইচেও ভর্তি হয়েছিলেন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.