টপ পোষ্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বেদেপল্লীতে ইউএনও’র নগদ টাকাসহ চাল বিতরণ

0

নয়ন ওজা। বয়স প্রায় ৭০ ছুই ছুই। এক বছর ধরে নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কলেজ হেলিপ্যাডে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ভালই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে বাংলাদেশ। থমকে গেছে বেদেপল্লীতে থাকা নয়ন ওজার সংসারও। ৬ জন পরিবারের সদস্য নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। ছেলে-মেয়ের খাবার সংগ্রহ করাই এখন তাদের দায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ হেলিপ্যাড মাঠে ২০১৯ সালে বসতি স্থাপন করে বসবাস শুরু করে আসছে দুটি বেদেপল্লী। এদের আদিবাস সুনামগঞ্জ, কেরানিগঞ্জ ও সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ পল্লীতে ছোট-বড় নারী-পুরুষসহ বিশ পরিবারের প্রায় একশত লোকের বসবাস। নয়ন ওজাদের আদি পেশা সাপের খেলা দেখানো। কিন্তু সারা দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে গ্রামে আর তাদের খেলা দেখতে চায়না কেউ। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জনসমাগমও নিষিদ্ধ। তাই খেলা দেখাতে না পাড়ায় আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় বেদেপল্লীতে এখন চলছে চরম খাবার সংকট।

বেদে পল্লীতে খাবার সংকটের কথা বিভিন্নজনের কাছে শুনে উপজেলা নাজমা আশরাফী ছুটে যান এ পল্লীতে। সেখানে গিয়ে তিনি তাদের সকল কষ্টের কথা শুনেন। পরে প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫শ টাকা প্রদানসহ ১৫ কেজি সরকারি চাল বিতরণ করেন।

বেদেপল্লীর সর্দার মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা সাপের খেলা দেখাইয়া যা পাই তাই দিয়ে পরিবার চালাই। করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের খেলা দেখানো বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়া খুব কষ্টে আছি। স্যার আমাদের নগদ ৫শ টাকা করে দিছে আর দিছে প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি চাল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে বলেছেন কোন গরীব মানুষ করোনার কারণে না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি বরাদ্দ হতে তাদের প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫শ টাকা ও ১৫ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান তারা যাতে পল্লী হতে বাহিরে না যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.