টপ পোষ্ট

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ বছর পূর্তি আজ

0

সম্প্রীতি ও সৌহার্দের পরিবেশের জন্যই ২২ বছর আগে সংঘাতময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্পাদিত হয়েছিল শান্তিচুক্তি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত শান্তি পাহাড়ে আজও অধরা। প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হচ্ছে পাহাড়। গত ছয় বছরে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ও উপদলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার এবং রাজনৈতিক ও জাতিগত বিরোধে খুন হয়েছেন ৩২১ জন।

দীর্ঘ সশস্ত্র লড়াইয়ের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সরকারের শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তি সইয়ের ২২ বছর পূর্তি আজ। বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি।

তবে চুক্তির মূল ধারাগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে বেড়েছে অবিশ্বাস, টানাপোড়েন আর শঙ্কা। পাহাড়ের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে নানা হতাশা ও উৎকণ্ঠা। সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে তেমন অগ্রগতি নেই বলেও অভিযোগ তাদের। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সইয়ের দুদশক পেরিয়ে গেলেও, চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নানা অভিযোগ পাহাড়িদের।

তবে সরকার বলছে, শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর বিরোধিতা ও অসহযোগিতা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও চাঁদাবাজির কারণে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। বিপরীতে তিন পার্বত্য জেলায় তৎপর আঞ্চলিক দলগুলোর দাবি, সরকার চুক্তি করলেও তা বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়ন ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে।

এতে পাহাড়ের অধিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। শান্ত হচ্ছে না পরিবেশ। পার্বত্য জেলায় বসবাসরত বাঙালিদের দাবি, তারা নূন্যতম নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

পার্বত্য চারটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে গোয়েন্দা সূত্রের এমন দাবি একটি জাতীয় দৈনিকে উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো, জনসংহতি সমিতি (জেএএসএস-মূল), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কাছে চার হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে ৫৪টি রকেট লঞ্চার, ৬৪১টি এসএমজি ও বিভিন্ন ধরনের রাইফেল ৫৯৪টি ও চার শতাধিক দেশি পিস্তল ও বন্দুক। এ ছাড়া হাত বোমা ও মর্টার শেল রয়েছে কয়েকশ’। গোয়েন্দাদের দাবি জেএসএস (মূল) এবং ইউপিডিএফের (মূল) কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রয়েছে। এ সংগঠনগুলো বছরে ৪০০ কোটি টাকার ওপরে চাঁদা তোলে।

ঠিকাদারি ব্যবসা, জিপ চালানো, নৌকা, ট্রলার, বনের কাঠ, পাথর উত্তোলন থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে চাঁদা তোলা হয়। পাহাড়ে বিভিন্ন সংঘাতে গত ছয় বছরে ৩২১ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ২০৭ জন এবং বাঙালি ১১৪ জন

। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ৫৪ জন, ২০১৫ সালে ৬৯ জন, ২০১৬ সালে ৪১ জন, ২০১৭ সালে ৩৩ জন, ২০১৮ সালে ৬৮ জন এবং ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৫৬ জন খুন হয়েছেন।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালে। সে বছরের ৩ মে ইউপিডিএফের (মূল) হামলায় জেএসএস (সংস্কার) সমর্থক নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা নিহত হন। একদিন পর শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ (মূল) হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমাসহ পাঁচজনকে হত্যা করে।

জানা যায়, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের প্রাক্কালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পাহাড়ি জনগণের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পরিচিতির স্বীকৃতি সম্পর্কিত কতিপয় দাবি পেশ করেন।

পাহাড়ি জনগণের দাবি মেনে নিতে সরকারের ব্যর্থতার ফলে তাদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে যোগ হয় শান্তি বাহিনী নামে একটি সামরিক শাখা।

১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড জনসংহতি সমিতির ইতিহাসে এক সঙ্কটময় অবস্থার সূচনা করে। লারমা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে শান্তি বাহিনী সামরিক দিক থেকে অধিকতর সংগঠিত হয়।

এর সদস্য সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। এরূপ অভিযোগ রয়েছে যে, শান্তি বাহিনী ভারতের ত্রিপুরায় ঘাঁটি স্থাপন করে সেখান থেকে অভিযান পরিচালনা করে। ১৯৭৭ সালে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া বহরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলার পর সেনাবাহিনী ঐ অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে ২৪তম ডিভিশনের জিওসির অধীনে আনা হয়। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।
সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকার পাহাড়ি জনগণকে শান্ত করার লক্ষ্যে সেখানে অর্থনৈতিক উন্ন

য়ন কার্যক্রম শুরু করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। অবশ্য সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে পাহাড়ি জনগণ গভীর অবিশ্বাস ও সংশয়ের দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকাণ্ড ও ব্যবস্থাপনায় পার্বত্য জনগণের তেমন আস্থা ছিল না।

২৪ তম ডিভিশনের জিওসি ছিলেন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এর ব্যবস্থাপনা অনেকটা ছিল বাঙালিদের হাতে। কাপ্তাই হ্রদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ যে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয় তা তাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে। এই হ্রদের জন্য তাদের মূল ভূখন্ডের ৪০ ভাগ ভূমি হারাতে হয়। ফলে প্রায় ১ লাখ লোক গৃহহারা হয়ে পড়ে।

কেউ কেউ মনে করেন যে, এদের অনেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। সরকার পাহাড়িদের হারানো ভূমির জন্য পুরোপুরি ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি। এ আশঙ্কা ও ভুল বুঝাবুঝি থেকে তাদের মধ্যে জন্ম নেয় ক্ষোভ ও হতাশা।

সরকার ১৯৭৯ সালে ঐ অঞ্চলে বাঙালি বসতি স্থাপনের এক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই কর্মসূচি ছিল পার্বত্য জনগণের প্রথাগত জুমিয়া অধিকারের পরিপন্থী। সরকার এতকালের গোষ্ঠী মালিকানাধীন জমিকে খাস জমি বা সরকারি মালিকানাধীন জমি ঘোষণা করে এসব জমিতে বাঙালি বসতি স্থাপন শুরু করলে বহু পাহাড়ি পরিবার উচ্ছেদ হয়।

উচ্ছেদকৃত পাহাড়িদের অনেকেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। ১৯৯১ সাল নাগাদ পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালির সংখ্যা দাঁড়ায় মোট জনসংখ্যার ৪৮.৫%; অথচ বসতি স্থাপন কর্মসূচির আগে ১৯৭৪ সালে সেখানে বাঙালির সংখ্যা ছিল প্রায় ১১.৬%।

বিশ শতকের আশির দশক থেকে জনসংহতি সমিতি জুম্ম জাতীয়তাবাদ নামে পাহাড়ি জনগণের একটি নতুন পরিচিতি তুলে ধরে। এতে দাবি করা হয় যে, পার্বত্য এলাকার ১৩টি পৃথক জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে জুম্ম জাতি গঠিত। সংখ্যাগরিষ্ঠের কর্তৃত্বের মোকাবেলায় পাহাড়ি জনগণকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এই নামকরণ করা হয়।

এ নতুন জাতি গঠনের লক্ষ্য ছিল পাহাড়িদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং উপজাতি ধারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়াস। জনসংহতি সমিতি তাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দানেরও দাবি জানায়।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে একটি আইন পাশ করে সরকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলায় স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করে। প্রত্যেক পরিষদের প্রধান ছিলেন চেয়ারম্যান।

তিনি আদিবাসীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। ৩০ সদস্যবিশিষ্ট এই পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ আদিবাসী এবং এক-তৃতীয়াংশ বাঙালি। আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন জেলার বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আনুপাতিক হারে বন্টন হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে পরিষদের সদস্যরা নির্বচিত হবেন।

এই পরিষদ নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করবে: আইন শৃঙ্খলাবিধান, উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, কৃষি ও বন, গবাদি পশুপালন, সমবায়, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, সমাজকল্যাণ, শিল্প ও সংস্কৃতি, সাধারণ রাস্তা ও সেতু, বিনোদন খেলাধুলা ও পার্ক, রেস্ট হাউজ, ফেরি, সরকার গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, যোগাযোগ সুবিধা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, স্থানীয় বহুমুখী উন্নয়ন, ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়াবলি, ভূমি বিক্রয়, বন্দোবস্ত ও ইজারার উপর স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ।

স্থানীয় পরিষদ এর নিজস্ব বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত জেলা পরিষদ আইনের কোন সাংবিধানিক ভিত্তি না থাকায় জনসংহতি সমিতি তা প্রত্যাখ্যান করে।

পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি পাহাড়ি জনগণের বিশেষ অবস্থান ও মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই শান্তিচুক্তির আওতায় তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

আঞ্চলিক পরিষদের গঠন কাঠামো নিম্নরূপ: চেয়ারম্যান ১, সদস্য (আদিবাসী) পুরুষ ১২, সদস্য (আদিবাসী) মহিলা ২, সদস্য (অ-আদিবাসী) পুরুষ ৬, সদস্য (অ-আদিবাসী) মহিলা ১। আদিবাসী পুরুষ সদস্যদের মধ্যে ৫ জন চাকমা, ৩ জন মারমা, ২ জন ত্রিপুরা এবং ১ জন করে মুরং ও তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন।

মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে ১ জন চাকমা এবং অপরজন অন্য আদিবাসী থেকে নির্বাচিত হবেন। অ-আদিবাসী সদস্যের ক্ষেত্রে প্রতি জেলা থেকে ২ জন করে নির্বাচিত হবেন। তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হবেন।

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদাধিকার বলে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হবেন এবং তাদের ভোটাধিকার থাকবে। আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা এই পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এই পরিষদ তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইন শৃঙখলা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও তত্ত্বাবধান করবে। উপজাতীয় আইন এবং সামাজিক বিচারকার্য এই পরিষদের অধীনে থাকবে।

পরিষদ এনজিওদের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করবে এবং ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেবে। পরিষদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করবে।

চুক্তিতে একজন উপজাতিকে প্রধান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কার্যক্রম দেখাশুনার জন্য একটি উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের কথাও বলা হয়েছে। তবে এটা সুস্পষ্ট যে, আঞ্চলিক পরিষদ একটি প্রতীকী প্রতিষ্ঠান। এর ক্ষমতা ও কার্যক্রম সমন্বয় সাধন ও তদারকি ধরণের। জেলা পরিষদগুলোর ক্ষমতা ও কার্যক্রম পূর্বের মতো রয়েছে; তবে এগুলিকে আরও কার্যকর করার জন্য কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে যে, উপজাতীয়দের ভূমি মালিকানা অধিকার নির্ধারিত হলে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূমির উপর মালিকানা নির্ধারণের জন্য ভূমি জরিপব্যবস্থা পরিচালিত হবে।

বর্তমান চুক্তির অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে, স্থায়ী সেনানিবাসও বহাল থাকবে। বিডিআর ছাড়া কেবল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প, আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে।

তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আঞ্চলিক পরিষদ প্রয়োজনে এ ধরণের সাহায্য সহযোগিতার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাতে পারবে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন