টপ পোষ্ট

রায়ে অসন্তোষ দিয়ার পরিবার

0

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালকসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার এনায়েতকে খালাস দেন আদালত। কিন্তু আদালতে এ রাযে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহত ছাত্রী দিয়া আক্তার মিমের পরিবার। তারা আদালতের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহর ফাঁসি চেয়ে উচ্চ আদালতে যেতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

রোববার বিকালে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েশ ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালক ও এক সহকারীকে যাবজ্জীবনের রায় দেন।

রায়ের পর দিয়ার মামা সেলিম হোসেন বলেন, তার (চালকের) ফাঁসি হওয়া উচিত। তিনি লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভার। লাইসেন্স নাই গাড়ির, গাড়ির অন্য কাগজপত্রও নাই। সে কারণে তার ফাঁসি দেওয়া উচিত। সরকার পক্ষের ফাঁসির আবেদন করা উচিত।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মেয়ের মৃত্যুর আগে বাস চালালেও মেয়েকে হারিয়ে আর বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি এখনও সে সিদ্ধান্তেই অটল আছেন বলে জানান সেলিম।

দিয়ার মামা মনে করেন, বাস মালিকরা অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়াতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।গাড়ির মালিকরা ১০ বছর, ১৩ বছরের পোলাপাইনের হাতে গাড়ি দিয়া দেয়। এরম করে বহুত মার কোল খালি হইসে। এ কারণে রোডে বেশি অ্যাক্সিডেন্ট হয়।

দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনার দায়ে করা মামলার ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের সুমন এবং সহকারী কাজী আসাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের রায় দিয়েছে আদালত। কাজী আসাদ এখনও পলাতক।

তবে জাবালে নূর বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, জাবালে নূর বাসের আরেক সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

আসামি মাসুমের বাসটি গত বছরের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের উপরে উঠে গিয়েছিল। তাতে নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব; আহত হয় আরও কয়েকজন। ওই বাসটির মালিক শাহাদাত।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন